ডেস্ক নিউজ : পটুয়াখালীর নির্মিতব্য পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চীন সরকারের সহযোগিতা চায় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন নসরুল হামিদ। সম্প্রতি এ বিষয়ে সাক্ষাৎকারে সিনহুয়াকে প্রতিমন্ত্রী জানান, ৯ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গড়ে তুলতে আগ্রহী বাংলাদেশ সরকার।
তিনি জানান, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে প্রথমে কমপক্ষে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিন্তা করছে সরকার। এখানে ১০-১২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। চীন সরকার চাইলে এই বিনিযোগের জন্য বড় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একজন হতে পারে এবং এই বিশাল অবকাঠামোটির সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য দুইটি চীনা সংস্থার সাথে ১.৫৬ বিলিয়ন ডলারের প্রকৌশল, ক্রয় এবং নির্মাণ (ইপিসি) চুক্তিতে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইতোমধ্যে চীনা ওই সংস্থাটি কাজ করা শুরু করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে চীনা সংস্থার নির্মাণ কাজের প্রসংশা করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, এখানে প্রধান প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। এটি বিশ্বমানের হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
নির্মাণাধীন পরিচ্ছন্ন কয়লা প্রযুক্তিসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘিরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রায় ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য চলছে। সরকার এখানে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য এক হাজার একর জমির উন্নয়ন করছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ ৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্র থেকে বরগুনার আমতলী হয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাড়িয়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন তার সংযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে কয়লাভিত্তিক এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।